খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে বাড়তে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

যেভাবে বাড়াবেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

করোনাভাইরাস মহামারী অবস্থায় আলোচিত বিষয় শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ইমিউনিটি ভালো তাঁদের ভাইরাসসহ যেকোনো রোগের সাথে লড়তে পারার ক্ষমতা বেশি। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পরিবর্তন আনুন খাদ্যাভ্যাসে।

ভিটামিন সি:

প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে টক জাতীয় ফল। যেমন- লেবু, কমলা, মাল্টা, আমড়া, জাম্বুরা ইত্যাদি। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি-এর কার্যকারিতা বেশি।

ভিটামিন ডি:

এর প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে সূর্যরশ্মি। যা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শরীরের কিছু অংশ উন্মুক্ত করে (যেমন মুখমণ্ডল, হাত বা ঘাড় ইত্যাদি) আপনি কাজে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। যেমন- ডিমের কুসুম, মাছের তেল, ওমেগা, গরুর কলিজা, চিজ এগুলো খেতে পারেন।

জিংক:

সর্দি-কাশি উপসর্গে জিংকের বেশ উপকারিতা রয়েছে। জিংক-সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে আদা, রসুন, ডাল, বিন্স, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ইদ্যাদি। বাজারে লজেন্স আকারে জিংক সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন ২-৩ ঘণ্টা পর পর।

দুগ্ধজাত খাবার:

দুগ্ধজাত খাবারকে বিজ্ঞানের ভাষায় প্রো-বায়োটিক ফুড বলা হয়। এরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরিতে বিশেষ কার্যকরী। যেমনঃ দুধ, দই, ঘোল, ছানা ইত্যাদি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

মধু:

মধুতে কিছু জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে। যেমনঃ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড)। তাই ফ্লু উপসর্গে মধু বেশ উপকারী। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানে খেতে হবে।

কালোজিরা:

এটি বেশ উপকারী ও মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। কালোজিরা নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।

নিয়মিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল চিবিয়ে খেলে ভালো। এতে পুষ্টির সাথে ফাইবারও পাওয়া যাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন ৮ থেকে ১০ গ্লাস। ফাস্টফুড, তেল-চর্বি ও মসলা জাতীয় খাবার যতটুকু সম্ভব পরিহার করুন। ভিটামিনস ও মিনারেল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আংশিক সংগৃহীতঃ সময় নিউজ